উন্নততর শিক্ষা, রুচিশীল ও মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মন এবং বয়স উপযোগী বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। এই কর্মসূচি দেশের ৬৪টি জেলার ৩০০টি উপজেলার ১৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এই কর্মসূচির সুবিধাসমূহ
ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচির সদস্য হতে পারবে
অংশগ্রহণকারী সদস্যরা প্রতি বছর আমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু, দেশ ও কৃষ্টি, সাহিত্য-সংস্কৃতির বিষয়ে কিশোর উপযোগী সুখপাঠ্য মননশীল ১৬ থেকে ২০ টি উপভোগ্য বাংলা ও ইংরেজি বই পড়ার সুযোগ পাবে। শিক্ষা মন্ত্র্রণালয়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের দক্ষ কমিটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মন, বয়স ও রুচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বইগুলো নির্বাচন করা হয়েছে।
বইপড়া শেষে সংক্ষিপ্ত মূল্যায়নের ভিত্তিতে পাবে বিপুল সংখ্যক পুরস্কার
৬ষ্ঠ শ্রেণির পাঠক সংখ্যা: ৫,৫০,৭৪৮
৭ম শ্রেণির পাঠক সংখ্যা: ৫,৩৮,২৮৮
৮ম শ্রেণির পাঠক সংখ্যা: ৫,০০,২৬৭
৯ম শ্রেণির পাঠক সংখ্যা: ৪,৭১,৪১৯
১০ম শ্রেণির পাঠক সংখ্যা: ৩,৯০,১৪৩
কর্মসূচিভূক্ত স্কুলের সংখ্যা: ১০,৮৯৮
কর্মসূচিভূক্ত মাদ্রাসার সংখ্যা: ৪,৫৭৯
ছাত্রছাত্রীদের বই পড়ার উৎসাহ বাড়িয়ে তোলার জন্য রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুরস্কারের ব্যবস্থা। পুরস্কার পাওয়ার জন্য পাঠকদের বছরের শেষে একটি মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। মূল্যায়ন পরীক্ষায় যারা
কমপক্ষে ৪৫% নম্বর পাবে তারা পাবে
'শুভেচ্ছা পুরস্কার', ১টি সুনির্বাচিত বই
কমপক্ষে ৬০% নম্বর পাবে তারা পাবে
'অভিনন্দন পুরস্কার', ২টি চমৎকার বই
কমপক্ষে ৮০% নম্বর পাবে তারা পাবে
'সেরাপাঠক পুরস্কার', সনদপত্রসহ ৩টি বই
পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির সার্বিক ব্যবস্থাপনার সাথে নিয়মিতভাবে যুক্ত রয়েছেন ১৫৭ জন কর্মকর্তা ও ৫২ জন সহায়তা কর্মি। টিম লিডারের তত্ত্বাবধানে একজন কো-টিম লিডার, ৩ জন ডেপুটি টিম লিডার কর্মসূচির নেতৃত্বে রয়েছেন।